বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব কল্যাণ তহবিল
শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫    ১২ : ৪৯ : ০৬

কল্যাণ তহবিল গঠনের প্রেক্ষাপট, প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য

কল্যাণ তহবিল গঠনের প্রেক্ষাপট, প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য

কল্যাণ তহবিল গঠনের প্রেক্ষাপট হচ্ছে করোনা (COVIT-19) মহামারী-২০২১। বিশ্ব যখন এই মহামারীর ভয়ে থমকে দাড়িয়েছে। বিশ্ববাসী যখন এ রোগের আতঙ্কে গৃহবন্দী। লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন এ রোগে আকৃান্ত হয়ে আপনজনদের স্বান্নিধ্য ছাড়া ধুকে ধুকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরছে। যখন চাকুরীরত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক ইউ পি সচিব করোনা আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করছেন, কিন্তু তাদের পরিবারের পাশে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে কেউ (সরকার বা আমাদের প্রিয় সংগঠন বাপসা) দাড়াতে পারছিলনা। ঠিক সেই সময়ে, তৎকালীন জুমে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী কতিপয় ইউ পি সচিব এই কল্যাণ তহবিল গঠনের পরিকল্পনা শুরু করেন।

কল্যাণ তহবিল গঠন প্রক্রিয়া-
১। জুম গ্রুপের পক্ষ থেকে, জুম সভায় ঢেকে এনে তৎকালীন বাপসা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ উচ্চ পদস্থ নেতৃবৃন্দের কাছে- কল্যাণ তহবিল গঠনের জন্যে মৌখিক প্রস্তাব রাখা হয়।
২। কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জুম গ্রুপকে, কল্যাণ তহবিল গঠনের জন্য নীতিমালাসহ  লিখিত প্রস্তাব প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
৩। জুম গ্রুপ দীর্ঘদিন আলোচনা পর্যালোচনার পর নীতিমালা প্রনয়ণ করে এবং উক্ত নীতিমালা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত প্রস্তাব প্রেরণ করে।
৪। বাপসা কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক নীতিমালা যাচাই-বাছাই এর জন্য ৫-সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
৫। নীতিমালা যাচাই-বাছাই শেষে বাপসা কেন্দ্রীয় কমিটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সদস্য এবং জুম গ্রুপের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত জুম সভায় নীতিমালা মৌখিক  অনুমোদন দেওয়া হয় এবং কল্যাণ তহবিল শুরুর জন্য একটি আহবায়ক কমিটি গঠনের রুপরেখা প্রদান করা হয়। 
৬। অতঃপর জুম গ্রুপ উক্ত নীতিমালা ও রুপরেখা মোতাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্যদের তালিকা  অনুমোদনের জন্য পুনরায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রস্তাব প্রেরণ করে।
৭। কিন্তু করোনা মহামারির কারনে কোন প্রকার সাধারন সভা করা সম্ভব না হওয়ায় দীর্ঘ ৬মাস অপেক্ষার পর শুধুমাত্র তৎকালীন বাপসা সভাপতির স্বাক্ষরে কল্যাণ তহবিল নীতিমালা ও আহবায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়।

কল্যাণ তহবিল হচ্ছে ইউ পি সচিবদের কল্যাণে গঠিত একটি স্থায়ী তহবিল। যে তহবিল তার মূলধন সারাজীবন সংরক্ষিত রাখতে অঙ্গিকারবদ্ধ। শুধুমাত্র তহবিলের মুনাফা দ্বারা চাকুরীরত ও গুরুতর বিপদগ্রস্ত ইউপি সচিবদের পাশে দাড়ানো হচ্ছে কল্যাণ তহবিলের মূল উদ্দেশ্য। 

বাপসা কে বাদ দিয়েও কিন্তু কল্যাণ তহবিল গঠন করা সম্ভব ছিল। কিন্তু জাতির বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষা, ঐক্য প্রতিষ্ঠা, সর্বপরি বাপসা'কে সমৃদ্ধ করতে ও সমুন্নত রাখতে বাপসার ছায়াতলে কল্যাণ তহবিলকে  রাখা হয়েছে।

আহবায়ক

মীর আব্দুল বারেক

যুগ্ম আহবায়ক

মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর

যুগ্ম আহবায়ক

মোঃ গিয়াস উদ্দিন

সদস্য সংশোধন

জাতীয় হেল্প লাইন