বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব কল্যাণ তহবিল
শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫    ০৪ : ৪৬ : ০৬

বাপসা’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশে অপরাপর জনগোষ্টির সাথে সাথে যখন সারে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের সেক্রেটারীদের দুর্দশা চরমে পৌছে তখনই প্রকট ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারীদের সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে ০১/০৩/১৯৭২ খ্রিঃ সনে ইউনিয়ন পরিষদ কর্মচারী সমিতি (বাপকস) প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বপ্রথম ইউনিয়ন পরিষদ কর্মচারী সমিতি (বাপকস) এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুলতান আলম মল্লিক যিনি ইউনিয়ন পরিষদ সচিব বা কর্মচারী ছিলেন না। তিনি অন্য সংগঠনের নেতা ছিলেন।
৫/২/১৯৭৪ খ্রিঃ তারিখে বাপকস এর নেতৃত্বে ইউ পি সেক্রেটারীদের একটি প্রতিনিধি দল বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। উক্ত সাক্ষাতে ইউ পি সেক্রেটারীদের কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ অসঙ্গতির কথা জানতে পেরে জনদরদী মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইউ পি সেক্রেটারীদের জাতীয় বেতন স্কেল এর আওতায় আনেন।
এরপর নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে ১৯৮৩ খ্রিঃ সনের ৩০শে আগস্ট তারিখে ২৩নং কোট হাউজস্টীট, জজকোট, ঢাকায় বাস্তবতা ও ঐতিহাসিক কারনে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারী সমিতি (বাপসা)। প্রথমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন নারায়নগঞ্জের কীর্তিমান সন্তান জনাব মোঃ আক্তারুজ্জামান সাহেব, কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন সুলতান আলম মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন নারায়নগঞ্জের ছাদেকুল ইসলাম ভূইয়া নীলু সাহেব।
দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ, তিতিক্ষার ইতিহাস নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারী সমিতির (বাপসা) পথ চলা। সংগঠন পরিচালনার জন্য গঠনতন্ত্র প্রনয়ন থেকে ইউ পি সচিবদের বেতন ভাতা সরকারী কোষাগার থেকে ৭৫% আদায়, কর্মচারী বিধিমালা প্রনয়ন, প্রবিডেন্ট ফান্ড, ল্যামগ্রান্ড, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর এবং হাটবাজার তহবিল থেকে ইউ পি সচিবদের ইউ পি অংশের বেতন ভাতা আদায় এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব ভাতা আদায় করেছেন। এছাড়া পদবী পরিবর্তন, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নসহ নানাবিধ সুবিধা আদায়ের জন্য বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা) তার প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছে।

আহবায়ক

মীর আব্দুল বারেক

যুগ্ম আহবায়ক

মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর

যুগ্ম আহবায়ক

মোঃ গিয়াস উদ্দিন

সদস্য সংশোধন

জাতীয় হেল্প লাইন